বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু অলাইকুম
নাসিরুদ্দিন আল আলবানি
মোঃ নাসিরুদ্দিন আল আলবানি বিংশ শতাব্দীর একজন প্রভাবশালী আলবানিয়ান সুন্নি ইসলামিক ছাএ।তিনি হাদীস ও ফিকহ এর ক্ষেএে বিশেষজ্ঞ।এছাড়া তিনি উচ্চ পদের লেখক ও বক্তৃতা ছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবনঃ
আল – আলবানি এস্কদার শহরের একটি গরীব পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতা হাজ্ব নুহ নাজাতি আল আলবানি ইস্তানবুলে তার শারঈ অধ্যায়ন সুম্পর্ন করেন এবং আলবানিয়ায় ফেরৎ আসেন।ধর্মতেন্ত্রর বহির্ভূত আহমেত জগুর রাজত্বকালে আল আলবানির পরিবার পশ্চিমের সরকারের প্রতিপত্তিতে ভিন্ন মত ছিল এবং দামাস্কে গমন করে।দামাস্কে তিনি লেখা পড়া শেষ করেন এবং কোরআন ,তাজইদ ,আরবী ভাষাবিদের বিদ্যা ,হানাফী ফিকহ এছাড়া তিনি ইসলামের অন্যান শাখা গুলো সম্পর্কে জ্ঞান আহরন করেন বিভিন্ন ইসলামিক পণ্ডিতদের কাছ থেকে ।ঐ সময় টা তিনি ঘড়ি মেরামতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।যে ব্যাবসা তিনি তার পিতার কাছ থেকে শিখেছিলেন।
হাদীস অধ্যায়নের শুরুঃ
২০ বছর বয়েসে আল আলবানি হাদীসের ক্ষেএে বিশেষজ্ঞতা শুরু করেন এবং ইহা বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত ছিল।আল মানার ম্যাগাজিনের লেখা পড়ে তিনি প্রভাবান্বিত হয়ে তিনি এই ক্ষেএে কাজ শুরু করেন ।সেই সময় তিনি আবদ আল রহিম ইবনে আল হুসাইন ইরাকির প্রতিবর্ণীকৃত অনুলিপির দ্বারা প্রভাবান্বিত হন।
পাণ্ডিত্যর জীবনঃ
কিছু সময় পর সপ্তাহে ২দিন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাএদের ক্লাস নেওয়া শুরু করেন।আকিদা ,ফিকহ ,উসুল ও হাদীসের বিভিন্ন বইয়ের শিক্ষা দেন।এছাড়া তিনি প্রতি মাসে ইসলামের দাওয়াতের জন্য বাবস্হা করেন এবং বিভিন্ন শহরে দাওয়াতি কাজে যেতেন সিরিয়া, জর্ডান
আল-আলবানি মদীনার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীস শিক্ষা শুরু করেন ৩ বছর তিনি সেখানে পড়েছেন(১৩৮১-১৩৮৩ হিঃ)এবং তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ডের একজন সদস্য হিসাবে কর্মরত ছিলেন পরে তিনি ফেরৎ আসেন এবং আয যারিয়াহ গ্রন্হশালায় কাজ শুরু করেন এবং তার দোকান তার এক ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করেন।
তিনি বিভিন্ন দেশ পরিদর্শন করেন ইসলাম প্রচার ও উপদেশমূলক বক্তৃতার জন্য।কাতার,মিশর,কুয়েত,সৌদি আরব ,স্পেন,যুক্তরাজ্য।তাকে অনেকবার জোর করে প্রবসিত করা হয়েছিল সিরিয়া থেকে জর্ডানে।তারপর তিনি আবার সিরিয়া আসেন তারপর তিনি বেইরুট ,সৌদি আরব , আমান , জর্ডান যান।
অভিমতঃ
পণ্ডিত জায়েদ ইবনে ফাহাদ তার সম্পর্কে বলেন – প্রকৃতপক্ষে আল-আলবানি এই যুগের একজন প্রসিদ্ধ এবং সম্মানিত ব্যক্ত্বিত।তার হাদীসের প্রতি ছিল কাজ করবার মহত্ত্ব ।সকল কাজের মধ্য এটি ছিল একটি সন্মানিত কাজ এবং তিনি ছিলেন অন্যান পণ্ডিতদের মত একজন যারা কিছু বিষয়ে সঠিক আর কিছু বিষয়ে ভুল ছিল।যেকোন কারণই এই মহৎ বিদ্যার প্রতি ভক্তি তার গৌরব স্বীকারের দাবি করে এটার প্রতি তার উদ্যমতা যর্থাথ মূল্যায়ন।
অন্যান পণ্ডিত এবং শিক্ষক মহিবুদ্দিন আল খাতিব বলেন যারা সহী সুন্নতের দিকে দাওয়াত দিতে দিতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তা পুনর্জীবিত যে করেছেন তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন আল- আলবানি সাহেব।
শেষ কথা
প্রথমে কিছু লোক তার হাদীস গবেষনা এর ক্ষেএে বিরোধীতা করলেও পরে তারা বই পুস্তক ঘেটে তার সাথে এক মত পোষন করেছেন।তিনি হাদীস এ পণ্ডিত ছিলেন বলেই তার বাছায়কৃত সহী হাদীস ও যয়িফ হাদীস গুলো পরবর্তী সময়ে মদীনা থেকে ছাপা হই আলাদা করে।যেমন – সহী দাউদ,যয়িফ দাউদ,সহী তিরমিজি ,যয়িফ তিরমিজি ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন